হারিকেন মিল্টনে ফ্লোরিডায় ১৬ জনের প্রাণহানি

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় হারিকেন মিল্টনের আঘাতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্লোরিডার আইন প্রয়োগকারী বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফ্লোরিডায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মিল্টন। স্থলভাগে আঘাত হানার আগে তা শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে তার আগে ফ্লোরিডার উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেহানদ্রো মায়োরকাস সাংবাদিকদের বলেন, বন্যার পানি নয় বরং মিল্টনের প্রভাবে মানুষ মারা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মিল্টন ফ্লোরিডা উপকূলে আঘাত হানার সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটার। সিয়েস্তা কি নামক একটি দ্বীপে এই গতি রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফ্লোরিডার বেশ কয়েকটি শহরে এই ঘূর্ণিঝড় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। অনেক বাড়িঘরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদ্যুৎহীন হন অন্তত ২০ লাখ গ্রাহক। ঘূর্ণিঝড়ের পর ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রবল বর্ষণ ও বাতাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষিজমি।
সংস্থাটি জানিয়েছে, সেন্ট পিটার্সবার্গে ৪২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঢেউয়ের উচ্চতা ১৩ ফুট পর্যন্ত হয়।
ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যানটিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘হারিকেনটি বড় আকারের ছিল। তবে সৌভাগ্যবশত আশঙ্কার চেয়ে কম ক্ষয়ক্ষতি করেছে।’
হারিকেন হেলেনের ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি ফ্লোরিডা উপসাগরীয় উপকূলের বাসিন্দারা। দুই সপ্তাহ আগে হেলেনের তাণ্ডবে ফ্লোরিডায় ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যেই নতুন করে আঘাত হানল ৩ মাত্রার বিপজ্জনক হারিকেন মিল্টন। পরে এটি ২ মাত্রায় পরিণত হয়।