top ad image
top ad image
home iconarrow iconবিশ্ব রাজনীতি

নির্বাচনের আগে মুখোমুখি বাইডেন-ট্রাম্প, বাকযুদ্ধ

নির্বাচনের আগে মুখোমুখি বাইডেন-ট্রাম্প, বাকযুদ্ধ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (ডানে) ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের আগে এই প্রথম মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন। ৭৮ বছরের ট্রাম্প আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। অন্যদিকে ৮১ বছরের জো বাইডেন আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবার রাতে তারা দুইজনে মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নেন সিএনএন টেলিভিশন চ্যানেলে।

বিতর্কে একাধিক বিষয় সামনে এসেছে। তার মধ্যে গাজা, ইউক্রেনযুদ্ধের প্রসঙ্গ যেমন এসেছে। তেমনই এসেছে অর্থনীতি, অভিবাসন প্রসঙ্গ। তবে বাইডেনের শারীরিক পরিস্থিতি বিতর্কের অনেকটা অংশজুড়ে ছিল। পাশাপাশি উঠে এসেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলতে থাকা একাধিক মামলার প্রসঙ্গও।

বিতর্কের শুরুতেই বাইডেন তুলে আনেন ট্রাম্পের আগে আমেরিকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা। তার অভিযোগ, ট্রাম্পের আমলে অর্থনীতির পতন শুরু হয়েছে। তার মধ্যে এসেছে কোভিড পরিস্থিতি। ট্রাম্প কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন বাইডেন। ট্রাম্পের অপারগতার কারণেই কোভিডে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেন বাইডেন।

জবাবি বক্তব্যে ট্রাম্পও বেছে নেন অর্থনীতির প্রসঙ্গ। তার অভিযোগ, বাইডেনের আমলে অর্থনৈতিক মন্দা রেকর্ড ছুঁয়েছে। মন্দার কারণে মানুষ কাজ হারাচ্ছেন। আমেরিকার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, একাধিক ক্ষেত্রে তিনি আমেরিকাকে এক নম্বরে নিয়ে গেছেন। তবে কোনো উদাহরণ তিনি দেননি। বিতর্কে অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করেছেন সিএনএন এর সাংবাদিক ডেভিড কিং। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প অগুনতি বার ফ্যাক্ট চেকিং মেশিনকে পরাস্ত করেছেন। অর্থাৎ, ট্রাম্প যা বলেছেন, তার সঙ্গে বাস্তবের সম্পর্ক নেই।

বাইডেনও বিতর্কে খুব সফল, এমনটা বলা যায় না। কোনো ক্ষেত্রে ট্রাম্পকে জবাব দিতে পারলেও, কিছু ক্ষেত্রে তিনি সময়মতো জবাব খুঁজে পাননি। ট্রাম্পকে পর্যুদস্ত করতে পারেননি তিনি।

গাজা-ইউক্রেন প্রসঙ্গ

গাজা এবং ইউক্রেন প্রসঙ্গ একাধিকবার উঠে এসেছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিতর্কে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, বাইডেনের আমলে গোটা বিশ্ব যুদ্ধের মুখোমুখি। উত্তরে বাইডেন বলেছেন, '‘এত মিথ্যে, এত ভুল তথ্য আমি জীবনে কখনো শুনিনি।’

ট্রাম্পের অভিযোগ, বিশ্ব যদি একজন ভালো নেতা পেতো, তাহলে আজ এই যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো না। এরপরেই ইউক্রেনকে দেওয়া আমেরিকার সাহায্যের প্রসঙ্গ টেনে আনেন ট্রাম্প। বলেছেন, এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনকে শুধুমাত্র আমেরিকা ২০০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এটা অনেক টাকা। এই টাকায় আমেরিকাবাসীর অনেক উন্নতি করা সম্ভব ছিল। অর্থনীতিকে সতেজ করে তোলা সম্ভব ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

বাইডেন এর উত্তরে বলেছেন, ইউক্রেনকে এই সাহায্য অস্ত্র দিয়ে করা হয়েছে। অন্য দেশগুলিও সমপরিমাণ অর্থ খরচ করেছে ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য। বাইডেনের অভিযোগ, ট্রাম্প তার নিজের আমলে ন্যাটো থেকে আমেরিকাকে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তার আমলে আমেরিকা অন্তত ৫০টি দেশকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াতে রাজি করাতে পেরেছে।

বয়সের প্রসঙ্গ

এবারের নির্বাচনে বয়স্কতম দুই প্রার্থী লড়াইয়ের মঞ্চে নেমেছেন। বাইডেন বলেছেন, রেকর্ড বয়সে কংগ্রেসে সেনেটর হয়েছিলেন তিনি। অত অল্প বয়সে আর কখনো কেউ সেনেটর হননি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, অনেকেই তার বয়স নিয়ে ঠাট্টা করেন। কিন্তু ট্রাম্প তার চেয়ে মাত্র তিন বছরের ছোট। বাইডেনের দাবি, এই বয়সে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে যা কাজ করেছেন, তা অভূতপূর্ব।

ট্রাম্প বাইডেনকে প্রতিযোগিতায় আহ্বান করেছেন। ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘চিকিৎসকদের সামনে দাঁড়িয়ে কে বেশি ফিট, তার পরীক্ষা হোক।’ ট্রাম্পের দাবি, ২৫ বছর আগে তিনি যতটা তরতাজা ছিলেন এখন তার চেয়েও একটু বেশি ভালো আছেন। কারণ, আগের চেয়ে ওজন কমেছে তার।

r1 ad
r1 ad