top ad image
top ad image
home iconarrow iconফিচার

বিহারীলালের কবিতায় ব্যক্তিগত অনুভূতি ও আবেগ– যেমন, প্রেম, বেদনা, আনন্দ, প্রকৃতির

বাংলা কবিতার ভোরের পাখি

বাংলা কবিতার ভোরের পাখি
বিহারীলাল চক্রবর্তী


বিহারীলাল চক্রবর্তীর। বাংল কবিতার অন্যতম পুরোধা। এমনকী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর মতো কবি হতে চেয়েছিলেন। তিনি আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার জনক হিসেবে পরিচিত পান।

কলকাতার জোড়াবাগান এলাকায় ১৮৩৫ সালের ২১ মে জন্মগ্রহণ করেন বিহারীলাল।

তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল খুব কম। তবে সংস্কৃত, বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের গভীর জ্ঞান অর্জন করেন তিনি নিজ উদ্যোগে।

বিহারীলালের কবিতায় ব্যক্তিগত অনুভূতি ও আবেগ– যেমন, প্রেম, বেদনা, আনন্দ, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার স্পষ্ট প্রকাশ থাকত। তাঁর কবিতার শক্তিমত্তা ছিল সহজবোধ্যতা।

বিহারীলাল জটিল ভাষার পরিবর্তে সহজ ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করতেন। তিনি ছন্দ নিয়ে খেলতে ভালোবাসতেন। ফলে সহজেই তাঁর কবিতাকে গানে রূপান্তর করা সম্ভব হতো। তার উল্লেখযোগ গ্রন্থ হলো, বিখ্যাত নিসর্গ-সন্দর্শন: (১৮৭০), মনোবীণা (১৮৮৬)।

বিহারীলাল চক্রবর্তীর সম্পাদনায় ১৮৬৮ ‘অবোধবন্ধু’ একটি শিশুতোষ পত্রিকা প্রকাশিত হত। টানা দশ বছর নিয়মিত প্রকাশিত হয় পত্রিকাটি।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ‘ভোরের পাখি’ উপাধি দিয়েছিলেন। ১৮৯৪ সালের ২৪ মে তাঁর জীবনাবসান হয়।

r1 ad
r1 ad