বিজ্ঞান
সময়ের সংক্ষিপ্ত পথ
অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব কৃষ্ণগহ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণ করে। যা মহাবিশ্বে ভিন্ন স্থানের সাথে সম্পর্কের একটা সেতু গড়ে দেয়। এই সেতুটি আক্ষরিকঅর্থেই টিউব বা ওয়ার্মহোলের রূপ নেয়। এটা স্থান-কালের পৃথক সব বিন্দুকে এক ছাদের নীচে নিয়ে আসে।
সংযুক্ত করে অন্য বিন্দুকে।
বিষয়টি সহজে বুঝতে, দ্বিমাত্রিক একটা এ ফোর কাগজ বিবেচনা করুন। দৈর্ঘ্য বরাবর বাঁকিয়ে ইংরেজি ‘ইউ’ আকৃতির করুন।
এর ফলে দুটো স্থানের দূরত্ব কমে গেল! কিন্তু কাগজ সোজা করে ফেললে ছিদ্র দুটোর দূরত্ব বেশ বেড়ে যাবে। এটাই ওয়ার্মহোলের কামাল! এক কথায়, ওয়ার্মহোল দুটো স্থানের ‘শর্টকাট’ হিসেবে কাজ করে।
ধারণা করা হয়, ওয়ার্মহোলের ভেতর আলোর চেয়ে বেশি বেগে চলবে সব। কাছের বা হাজারো আলোকবর্ষ দূরের কিছু সময়ের অবস্থান সাপেক্ষে একাধিক স্থানের সাথে এই ক্ষুদ্রবিবর সম্পর্ক গড়ে।
দুটো স্থানকালকে জুড়ে দিয়ে এই তত্ত্বটি ‘সময়-ভ্রমণ’ বা টাইম ট্রাভেলের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে। যদিও ওয়ার্মহোলের বিষয়টি এখনো পুরোপুরি তাত্ত্বিক।
এখন পর্যন্ত ওয়ার্মহোল কাল্পনিক টানেল ছাড়া কিছু নয়। যা স্থান ও সময়ের বিভিন্ন অঞ্চলকে যুক্ত করে। সেরা আমাদের মহাবিশ্বের সাথে অন্য মহাবিশ্বের সংযোগও হতে পারে।