বিজ্ঞান
চেপে রাখা বিজ্ঞান
১৬৮৭ সাল। হ্যালি আড্ডা দিচ্ছেন নিউটনের বাড়িতে। কথায় কথায় বিজ্ঞানের এক অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে আলেচানা শুরু হলো। বিষয়টা হলো, সূর্যের চারপাশে গ্রহগুলো ঘোরে কোন নিয়মে? এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে চারদিকে। সমাধান আর মিলছে না। নিউটন হ্যালিকে বললেন, ‘অত বিচলিত হবার কিছু নেই, বন্ধু। এ সমস্যার সমাধান আমি বাইশ বছর আগেই করে ফেলেছি।’
চেপে রাখা বিজ্ঞান১৬৮৭ সাল। হ্যালি আড্ডা দিচ্ছেন নিউটনের বাড়িতে। কথায় কথায় বিজ্ঞানের এক অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে আলেচানা শুরু হলো। বিষয়টা হলো, সূর্যের চারপাশে গ্রহগুলো ঘোরে কোন নিয়মে? এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে চারদিকে। সমাধান আর মিলছে না। নিউটন হ্যালিকে বললেন, ‘অত বিচলিত হবার কিছু নেই, বন্ধু। এ সমস্যার সমাধান আমি বাইশ বছর আগেই করে ফেলেছি।’আড্ডা দিচ্ছেন নিউটনের বাড়িতে। কথায় কথায় বিজ্ঞানের এক অমীমাংসিত রহস্য নিয়ে আলেচানা শুরু হলো। বিষয়টা হলো, সূর্যের চারপাশে গ্রহগুলো ঘোরে কোন নিয়মে? এ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে চারদিকে। সমাধান আর মিলছে না। নিউটন হ্যালিকে বললেন, ‘অত বিচলিত হবার কিছু নেই, বন্ধু। এ সমস্যার সমাধান আমি বাইশ বছর আগেই করে ফেলেছি।’
তাজ্জব বনে গেলেন হ্যালি। বলে কি নিউটন? রোজ দুজন আড্ডা দেন। অথচ এতগুলো বছরে বন্ধুর কাজের খবর বিন্দুমাত্র আঁচ করতে পারেননি! হ্যালি বললেন, ‘বাইশ বছর আগেই যদি সমাধান করে থাক, প্রকাশ করছ না কেন?’
নিউটন তখন আশঙ্কা আর সন্দেহের কথা বললেন। তাঁর মনে হয়েছে, এসব কথা পাঁচকান হয়ে গেলে আবিষ্কার চুরি হওয়ার আশঙ্কা আছে। হ্যালি বন্ধুকে অভয় দিলেন। তারপর অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে নিউটনের বাইশ বছর আগে করা কাজগুলো বই আকারে প্রকাশ করলেন। এটিই নিউটনরে সেই বিখ্যাত বই প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা। আর যে নিয়মের কথা হ্যালি বলেছিলেন সেটা হলো পদার্থবিজ্ঞানের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। নিউটনের ‘মহাকর্ষ সূত্র’ নামে তার খ্যাতি জগৎজোড়া। শুধু মহাকর্ষ সূত্রই নয়। ওই বইয়ে নিউটনের গতি তত্ত্ব, গ্যালিলিওর পড়ন্ত বস্তুর সূত্রের ব্যাখ্যাও ছিল। ওই বইয়ের মাধ্যমেই জন্ম হয়েছিল আধুনিক বলবিদ্যার। বইটি নিউটন লিখেছিলেন মাত্র দুবছরে। ১৬৬৫ থেকে ১৬৬৬ সাল পর্যন্ত। হ্যালির প্রচেষ্টায় সেটা প্রকাশিত হয় ১৬৮৭ সালে।
সূত্র: নিউ সায়েন্টিস