top ad image
top ad image
home iconarrow iconফিচার

বিজ্ঞান

ইউনিক ইউরেনাস

ইউনিক ইউরেনাস
ইউরেনাস গ্রহ

ইউরেনাস গ্যাস দানব। কিন্তু আকারে বিশাল, যদিও বৃহস্পতির ধারে কাছে নয়। শনির মতো এরও বলয় আছে। তবে শনির বলয়ের মতো উজ্জ্বল নয়। বলয় বাদেই এর চেহারাখানা বেশ সুন্দর। বিশেষ করে এর রং।

ইউরেনাসের গড় ব্যাসার্ধ পৃথিবীর প্রায় চারগুন- ২৫ হাজার ৩৬২ কিলোমিটার। পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল ৮১১ কোটি ৫৬ লাখ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রায় ১৫ গুন। ৬৩টা পৃথিবী অনায়াশে এর ভেতর জায়গা করে নিতে পারবে।

১৪টি পৃথিবীর ভরের ইউরেনাসের ভর। তবে গ্যাসীয় গ্রহ বলে ঘনত্ব কম, তাই মহাকর্ষ বল সমান ইউরেনাসের মহাকর্ষীয় ত্বরণ ৮.৬৯ মিটার/সেকেন্ড^২। তাই পৃথিবীতে যদি আপনার ওহন ১০০ কেজি হয় ইউরেনাসে হবে ৮৮ কেজি।

ইউরেনাস ঠিক পাথুরে গ্রহ নয়। আবার পুরোপুরি গ্যাসীয় গ্রহও নয়। এই গ্রহরে বায়ুমণ্ডল তৈরি বড় বড় সব অণু দিয়ে। যেমন ইউরেনাসের দেহ গড়ে উঠেছেপ হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, অ্যামোনিয়া, পানি ও সালফেইডের মিশেলে। সঙ্গে আছে কিছু হাইড্রোকার্বন। এরমধ্যে রয়েছে মিথেন। এই গ্যাসটিই ইউরোনাসের রঙের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। তৈরি হয়েছে সবজেটে নীল অর্থাৎ সায়ান রঙের গ্রহ।

ইউরেনাস গ্যাসীয় গ্রহ। এর বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান হাইড্রোজেন সালফাইড। তাহলে ইউরেনাসের গন্ধটা কেমন হবে বলুন তো। যাঁরা ন্যূনতম এইচএসসিতে বিজ্ঞান পড়েছেন, তাঁদের অজানা থাকার কথা নয় হাইড্রোজেন সালফাইডের গন্ধ কেমন। প্র্যাকটিক্যাল ল্যাবে রসায়নের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন অথচ পচা ডিমের গন্ধ পাননি, এমন লোকের সংখ্যা বিরল। ডিম পচে গেলে এর ভেতর জমা হয় হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস। পচা ডিমের যে আঁশটে গন্ধ, সেটার জন্য এই গ্যাসই দায়ী। সুতরাং ইউরেনাসের গন্ধ তাই পচা ডিমের মতো।

গন্ধ যাইহোক কাকের ডিমের মতো আসমানী রঙ একে বাড়তি সৌন্দর্য দিয়েছে।

r1 ad
r1 ad