অরুণ কুমার
একটা ব্যাপার অবাক লাগে না? পশুপাখিরা কীভাবে অভিনয় করে? এ যুগে কথাটা হাস্যকর মনে হতে পারে। এখন তো ভিএফএক্সের যুগ, সহজে বিস্ময়কর সব দৃশ্যের জন্ম দেওয়া যায় এর মাধ্যমে। পশপাখি না হলেও তাদের চরিত্র তৈরিকে করে দিতে পারেন দক্ষ অ্যানিমেটর। কিন্তু সবযুগে তো আর এই সুবিধা ছিল না। তখন প্রশিক্ষিত প্রাণীদের দিয়ে অভিনয় করানো হতো।
শুটিংয়ে গিয়ে কি ওরা গড়বড় করে ফেলত না?
ফেলত না আবার। বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশে একসময় প্রশিক্ষিত প্রাণী পাওয়ায় কঠিন ছিল। সেই যুগে সত্যজিতের মতো পরিচালকদের কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে অভিনেতা প্রাণীগুলো।
‘পথের পাঁচালী’ সিনেমা করতে গিয়ে পড়েছিলেন বিড়ম্বনায় সত্যজিত রায়। একটা কুকুর বেঁকে বসেছিল অভিনয় করতে গিয়ে।
সত্যজিৎ রায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেখে এসেছেন, সেখানকার কুকুরগুলোও কত ভালো অভিনয় করে। সেসব কুকুরের কোনো কোনোটার জনপ্রিয়তা বিখ্যাত অভিনেতাদের কাছাকাছি। ওদের পারিশ্রমিকও নাকি পাকা অভিনেতাদের সমান। ওরা কিভাবে অভিনয় করে, ক্যামেরার সামনে কী উপায়ে ওদের কাজে লাগানো হয়, শুটিংয়ের আগে ওরা কিভাবে রিহার্সাল করে—সেসব খুঁটিয়ে দেখে এলেন সত্যজিৎ।
পরে যখন প্রথম সিনেমা বানাতে যান সত্যজিৎ রায়, তখন ওই কুকুরগুলোর মাথায় রেখেই চেষ্টা করেছিলেন দেশীয় কুকুরকে কিভাবে অভিনয় করানো যায়।
সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি ছিল পথের পাঁচালী। কেন্দ্রীয় চরিত্র অপু আর দুর্গা। উপন্যাসে তাঁদের একটা পোষা কুকুর ছিল, নাম ভুলু।
সিনেমার অন্তত একটা দৃশ্যে ভুলুকে দেখাতে চাইলেন সত্যজিৎ। কিন্তু মুশকিল হলো হলিউডের মতো শিক্ষিত কুকুর এ দেশে পাবেন কোথায়। শেখানো-পড়ানো বিদেশি ককুরকে তো আর দেশি কুকুরের পাট দেওয়া যায় না। তাই একটা দেশি কুকুরকেই ধরে-বেঁধে অভিনয় করাতে হবে।
এক ময়রা এসেছে গাঁয়ে মিষ্টি বিক্রি করতে।
পিঠের বাঁকে মিষ্টির হাঁড়ি ঝুড়ি ঝুলিয়ে সারা গ্রাম মিষ্টি বেঁচে বেড়াচ্ছে লোকটা। অপু-দুর্গাদের সংসারে বড্ড অভাব। ভাতই খেতে পায় না ঠিকমতো, মিষ্টি কেনার সাধ্য কোথায়! তাই ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছে মিষ্টিওয়ালার পিছু পিছু। গাঁয়ের ছেলেমেয়েরা হুড়োহুড়ি করে মিষ্টি কিনবে, কিভাবে কিনবে, কিভাবে খাবে—এসব দেখেও মজা পাওয়া সম্ভব। সত্যজিৎ চাইলেন এই দৃশ্যে থাকুক কুকুরটাও। রিহার্সালও করলেন কুকরটাকে নিয়ে।
সব ঠিক ঠিক। কিন্তু ক্যামেরা চালু হওয়ার পর বেঁকে বসল কুকুরবাবাজি। কিছুতেই অপু-দুর্গার পেছনে ঘুরবে না! তখন ছিল ফিল্মি ক্যামেরা যুগ। অর্থাৎ ভিডিও রেকর্ড হতো ফিল্মে। ফিল্ম বিক্রি হতো ফুট হিসেবে। একেকটা দৃশ্য ধারণ করতে ব্যয় হতো কয়েক শ ফুট ফিল্ম। সে ফিল্মের আবার অনেক দাম। পর পর এগারোবার চেষ্টা করলেন সত্যজিৎ, প্রায় হাজার ফুট ফিল্ম নষ্ট হলো। কিন্তু কুকুরটাকে টলানো গেল না। শেষমেশ অন্যপন্থা অবলম্বন করতে হলো। সন্দেশ কিনে দুর্গার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হলো। সঙ্গে কুকুরের মালিকও রইল অপু-দুর্গার সঙ্গে। সবার আগে কুকুর মালিক, তারপর অপু, তার পেছনে সন্দেশ হাতে দুর্গা। সন্দেশের লোভে কুকুর ঘুরতে শুরু করল অপু-দুর্গার পিছু পিছু। সত্যজিৎ মনের মতো দৃশ্য ধারণ করলেন।
একটা ব্যাপার অবাক লাগে না? পশুপাখিরা কীভাবে অভিনয় করে? এ যুগে কথাটা হাস্যকর মনে হতে পারে। এখন তো ভিএফএক্সের যুগ, সহজে বিস্ময়কর সব দৃশ্যের জন্ম দেওয়া যায় এর মাধ্যমে। পশপাখি না হলেও তাদের চরিত্র তৈরিকে করে দিতে পারেন দক্ষ অ্যানিমেটর। কিন্তু সবযুগে তো আর এই সুবিধা ছিল না। তখন প্রশিক্ষিত প্রাণীদের দিয়ে অভিনয় করানো হতো।
শুটিংয়ে গিয়ে কি ওরা গড়বড় করে ফেলত না?
ফেলত না আবার। বিশেষ করে আমাদের উপমহাদেশে একসময় প্রশিক্ষিত প্রাণী পাওয়ায় কঠিন ছিল। সেই যুগে সত্যজিতের মতো পরিচালকদের কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে অভিনেতা প্রাণীগুলো।
‘পথের পাঁচালী’ সিনেমা করতে গিয়ে পড়েছিলেন বিড়ম্বনায় সত্যজিত রায়। একটা কুকুর বেঁকে বসেছিল অভিনয় করতে গিয়ে।
সত্যজিৎ রায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেখে এসেছেন, সেখানকার কুকুরগুলোও কত ভালো অভিনয় করে। সেসব কুকুরের কোনো কোনোটার জনপ্রিয়তা বিখ্যাত অভিনেতাদের কাছাকাছি। ওদের পারিশ্রমিকও নাকি পাকা অভিনেতাদের সমান। ওরা কিভাবে অভিনয় করে, ক্যামেরার সামনে কী উপায়ে ওদের কাজে লাগানো হয়, শুটিংয়ের আগে ওরা কিভাবে রিহার্সাল করে—সেসব খুঁটিয়ে দেখে এলেন সত্যজিৎ।
পরে যখন প্রথম সিনেমা বানাতে যান সত্যজিৎ রায়, তখন ওই কুকুরগুলোর মাথায় রেখেই চেষ্টা করেছিলেন দেশীয় কুকুরকে কিভাবে অভিনয় করানো যায়।
সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি ছিল পথের পাঁচালী। কেন্দ্রীয় চরিত্র অপু আর দুর্গা। উপন্যাসে তাঁদের একটা পোষা কুকুর ছিল, নাম ভুলু।
সিনেমার অন্তত একটা দৃশ্যে ভুলুকে দেখাতে চাইলেন সত্যজিৎ। কিন্তু মুশকিল হলো হলিউডের মতো শিক্ষিত কুকুর এ দেশে পাবেন কোথায়। শেখানো-পড়ানো বিদেশি ককুরকে তো আর দেশি কুকুরের পাট দেওয়া যায় না। তাই একটা দেশি কুকুরকেই ধরে-বেঁধে অভিনয় করাতে হবে।
এক ময়রা এসেছে গাঁয়ে মিষ্টি বিক্রি করতে।
পিঠের বাঁকে মিষ্টির হাঁড়ি ঝুড়ি ঝুলিয়ে সারা গ্রাম মিষ্টি বেঁচে বেড়াচ্ছে লোকটা। অপু-দুর্গাদের সংসারে বড্ড অভাব। ভাতই খেতে পায় না ঠিকমতো, মিষ্টি কেনার সাধ্য কোথায়! তাই ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছে মিষ্টিওয়ালার পিছু পিছু। গাঁয়ের ছেলেমেয়েরা হুড়োহুড়ি করে মিষ্টি কিনবে, কিভাবে কিনবে, কিভাবে খাবে—এসব দেখেও মজা পাওয়া সম্ভব। সত্যজিৎ চাইলেন এই দৃশ্যে থাকুক কুকুরটাও। রিহার্সালও করলেন কুকরটাকে নিয়ে।
সব ঠিক ঠিক। কিন্তু ক্যামেরা চালু হওয়ার পর বেঁকে বসল কুকুরবাবাজি। কিছুতেই অপু-দুর্গার পেছনে ঘুরবে না! তখন ছিল ফিল্মি ক্যামেরা যুগ। অর্থাৎ ভিডিও রেকর্ড হতো ফিল্মে। ফিল্ম বিক্রি হতো ফুট হিসেবে। একেকটা দৃশ্য ধারণ করতে ব্যয় হতো কয়েক শ ফুট ফিল্ম। সে ফিল্মের আবার অনেক দাম। পর পর এগারোবার চেষ্টা করলেন সত্যজিৎ, প্রায় হাজার ফুট ফিল্ম নষ্ট হলো। কিন্তু কুকুরটাকে টলানো গেল না। শেষমেশ অন্যপন্থা অবলম্বন করতে হলো। সন্দেশ কিনে দুর্গার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হলো। সঙ্গে কুকুরের মালিকও রইল অপু-দুর্গার সঙ্গে। সবার আগে কুকুর মালিক, তারপর অপু, তার পেছনে সন্দেশ হাতে দুর্গা। সন্দেশের লোভে কুকুর ঘুরতে শুরু করল অপু-দুর্গার পিছু পিছু। সত্যজিৎ মনের মতো দৃশ্য ধারণ করলেন।
শামীম জানতেন, ফি পরিশোধ না করলে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না, তাই তিনি ব্যাংক পেমেন্ট করে ফরম জমা দিলেন। পরে তিনি আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে বাংলাদেশে থাকা তার ভাইকে পাঠিয়ে দিলেন।
১ দিন আগেপ্রথমেই বলা দরকার, দুর্বলতা সব সময় কোনো রোগের উপসর্গ নয়। এটি হতে পারে আমাদের জীবনযাত্রার ভুলভ্রান্তির কারণে। যেমন পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, সঠিক খাবার না খাওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, শরীরচর্চার ঘাটতি ইত্যাদি।
২ দিন আগেযারা ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ নন, তারা স্থানীয় ডিজিটাল সেন্টারে গিয়ে এই সেবা নিতে পারেন অথবা ৩৩৩ নম্বরে কল করলেই সহায়তা পাবেন।
২ দিন আগেবিশেষজ্ঞদের মতে, দুটি ধরনের আয়রন রয়েছে—হিম আয়রন এবং নন-হিম আয়রন। হিম আয়রন পাওয়া যায় প্রাণিজ উৎস যেমন মাংস, মাছ ও ডিমে। এটি সহজে শরীরে শোষিত হয়।
২ দিন আগে