top ad image
top ad image
home iconarrow iconফিচার

সাহিত্য

জমির করাতির বউ ও একটি কালজয়ী গল্পের জন্মকথা

জমির করাতির বউ ও একটি কালজয়ী গল্পের জন্মকথা
বিভূতিভুষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

মরা মানুষ আবার জীবিত হয় কী করে? কিন্তু মানুষটা যখন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তখন অলৌকিক সব কর্মকাণ্ড হাজির হবেই। আর সে সবের ব্যাখ্যা থাকুক আর নাই থাকুক। বিভূতিভূষণ সেটা নিয়ে একটা মর্মস্পর্শী গল্প লিখবেনই। তো, পাড়ার মুরুব্বি জমির করাতির বৃদ্ধা বউই বা বাদ যাবেন কেন?

জমির করাতির বিধবা বউ বিভূতিভূষণকে নিজের ছেলের মতো ভালোবাসেন। তাঁর ছেলে স্কুলে বিভূতির সহপাঠী ছিলেন, ছোটবেলাতেই সে গাছ থেকে পড়ে মারা যায়। তারপর থেকেই বিভূতির প্রতি বড্ড মায়া বৃদ্ধার। গ্রামে এলেই তিনি বিভূতিকে দেখতে আসবেন।

জঙ্গল থেকে পেড়ে আনা নোনা আতা কিংবা বুনো পেয়ারা তার হাতে থাকবেই। বিভূতিকে খাওয়াবার জন্য।

একবার গ্রামে গিয়ে সেই বৃদ্ধাকেই দেখতে পান দাঁড়িঘাটার পুলের কাছে। বিভূতিকে তিনি দেখেও না দেখার ভান করেন।

বিভূতি অনেক চেষ্টা করেন তাঁর সঙ্গে কথা বলার। বুড়ি কিন্তু নীরব। বুড়ি বড্ড অভিমানী। হতাশ হয়ে ফিরে আসেন বিভূতি।

প্রতিবেশীদের জিজ্ঞেস করেন তাঁল এমন আচরণের কারণ।

জানা যায়, জমির করাতির বউ সেদিন সকালেই মারা গেছেন। এবং বিভূতিভূষনেণেরা গাঁয়ে ফেরার আগেই তাঁকে কবর দেওয়া হয়েছে, সেটা ওই দাঁড়িঘাটার পুলের কাছে। বিভূতিভূষণ এই বৃদ্ধাকে নিয়ে পরে লিখেছিলেন তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্প ‘আহ্বান’। কিন্তু মৃত বুড়িকে দেখলেন কী করে তিনি?
সম্ভবত বিভূবিভূষণ হ্যালুসিনেট করেছিলেন।

r1 ad
r1 ad