এই বাজেট জনবান্ধব নয় : জিএম কাদের

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ২০: ৩৭

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট জনবান্ধব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তিনি বলেছেন, এই বাজেটকে জনবান্ধব বলা যায় না। পরোক্ষ করের করনে জনগণের মাথায় করের বোঝা বাড়বে। জনগণের মুক্তির উপায় নেই। পরিবেশের অভাবে বিদেশি বিনিয়োগ বড়বে না, তাতে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে না। এই বাজেটের পরে বাংলাদেশ একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়বে।

বৃহস্পতিবার বাজেট ঘোষণার পর জাতীয় সংসদ টানেলের পাশে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাজেট হয়েছে গতানুগতিক। গেলো কয়েক বছর যা হয়েছে, তার বাইরে বিশেষ কিছু নেই। দেশে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। মূল্যস্ফীতি, প্রতিদিন জিনিস পত্রের দাম বাড়ছে। আছে বেকার সমস্যা। বৈদেশিক মুদ্রা যা আয় করছি, ব্যায় হচ্ছে তা চেয়েও বেশি। রিজার্ভ প্রতিদিন কমছে। এতে আমাদের টাকার দাম কমছে। এগুলো উত্তরণের কোন পদক্ষেপ বা উদ্যোগ এই বাজেটে লক্ষ্য করছি না। বাজেটের আকার করা হয়েছ ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। পরিচালন ব্যায় হচছে ৫ লক্ষ ৬ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন ব্যায় হচছে ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা।

জিএম কাদের বলেন, ব্যয়ের চেয়ে আয় হচ্ছে অনেক কম। রাজস্ব আয় দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি। ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ঘাটতি হচ্ছে। ঘাটতি মেটানো হচছে দেশি ও বিদেশি ঋণ দিয়ে। ঋণ নিয়েই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা হচ্ছে। ১ লাখ ২৭ হাজার কোটি বৈদেশিক ঋণ থেকে সুদ দেয়ার পরে আমরা ব্যবহার করতে পারছি ৯০ হাজা ৭০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ করতে হচ্ছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

পরিচালন ব্যায় ও ঋণ নিয়ে করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ৯৩ হাজার কোটি টাকা আর বৈদেশিক ঋণের সুদ ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এখন ঋণ করা হচ্ছে তার সুদ ভবিষ্যতে পরিশোধ করতে হবে। ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় দেখানো হয়েছে। ৬২ শতাংশ হচ্ছে প্রত্যক্ষ কর বাকিটা পরোক্ষে কর। এতে সাধারণ মানুষের ওপর করোর বোঝা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আয়কর মাত্র ৩৬ ভাগ, আমদানি শুল্ক ১০.৩, মূল্য সংযোজন কর ৩৮.১ এবং সমপূরক শুল্ক ১৩.৮ এটা রিকশাওয়ালা থেকে ভিক্ষুকদেরও দিতে হবে। গরিব মানুষদের বাঁচানোর জন্য কোনো উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়ছে না। হতদরিদ্র মানুষের জন্য যেটুকু দেয়া হয়, তা নিয়ে বিস্তার অভিযোগ রয়েছে। অপচয় এবং দুর্নীতির মাধ্যমে যারা সহায়তা পাওয়ার কথা তারা পায় না। সরকার যেটা অর্জন বলছে, সেটা দুর্নীতি বা লজ্জাজনক। সরকার বলছে ৩০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবে ১৩ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াট ব্যবহার করা সম্ভব হয়। ১৫ থেকে ১৬ হাজার মেগাওয়াট দরকার হলেই লোডশেডিং করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, সারা দেশে লোডশেডিং চলছে। ১৫ হাজারের পরে বাড়তি ১৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন না হলেও বসিয়ে বসিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা বসিয়ে বসিয়ে দেয়া হয়েছে ওসব প্লান্টকে। জনগণের ক্ষতির কারণগুলোকে লাভজনকভাবে দেখানো হচ্ছে। অথচ, এখনো সবাই বিদ্যুৎ পাচ্ছে না, গ্যাস পাচ্ছে না। গ্যাস আমদানিতে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার কিন্তু উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়নি। এতে আমাদের বিপুল অংক গচ্চা দিতে হচ্ছে। আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা অত্যন্ত হুমকির মুখে আছে।

ad
Ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

মঞ্চের আলো থেকে অন্ধকারে মমতাজ

গত ১২ মে মমতাজকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে খুন এবং খুনের চেষ্টা। গ্রেপ্তারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তিনি আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন এবং জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

১ দিন আগে

এক দিনের সফরে চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক দিনের সফরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। বুধবার (১৪ মে) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ তথ্য জানিয়েছে।

১ দিন আগে

এনবিআর বিলুপ্ততিতে রাজস্ব আদায়ে প্রভাব পড়বে না: ড. সালেহউদ্দিন

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ করায় রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

২ দিন আগে

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি ফের বুধবার

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার (১৪ মে) দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১৩ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

২ দিন আগে