দুর্নীতি রুখতে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সমঝোতা স্মারক সই\n
বাংলাদেশ বহুপাক্ষিকতায় বিশ্বাস করে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা সার্ক ও বিমসটেকের গর্বিত সদস্য। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোর আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
বৈঠকে থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অভিজিৎ ভেজ্জাজীবা, সাবেক এক উপপ্রধানমন্ত্রী, শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা, ব্যাংকার, শিক্ষাবিদ ও নাগরিক সমাজের নেতারা অংশ নেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ আশা করছে, আসিয়ানের সদস্যপদ অর্জনে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াসহ আসিয়ানের শীর্ষ দেশগুলোর সমর্থন পাওয়া যাবে।
অধ্যাপক ইউনূস থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে আরও বৃহত্তর সহযোগিতার ওপর জোর দেন। বলেন, উভয় দেশ একই রকম ইতিহাস ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। আমরা যে ধরনের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই, এই বৈঠকের মাধ্যমে তার সূচনা হলো।
সাম্প্রতিক বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিস্থিতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশৃঙ্খলা অনেক কিছুকে নাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু বিশ্ব এই ‘বিশৃঙ্খল অবস্থা’কে তার সুবিধাতেও রূপান্তর করতে পারে। আমাদের আরও সহযোগিতা দরকার। আমরা একটি নতুন ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে ভাবতে পারি কি না, সে নিয়েও ভাবা দরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিবর্তন এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরেন। বলেন, এই অভ্যুত্থান একজন নিষ্ঠুর স্বৈরশাসককে উৎখাত করে বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ১০টি দেশের একটি আঞ্চলিক জোট অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (আসিয়ান)। এর সদস্য দেশগুলো হলো— মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, লাওস, মিয়ানমার, ব্রুনাই, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়া। এ বছর পূর্ব তিমুর এই জোটের সদস্যপদ পেতে পারে। চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশ আসিয়ানে যুক্ত হওয়ার পথে রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশও দীর্ঘ দিন ধরেই আসিয়ানের সদস্যপদ পাওয়া চেষ্টা করছে। আঞ্চলিক এই জোটে যুক্ত হলে বাণিজ্যসহ নানা খাতে সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সবশেষ গত চীন সফরেও যাওয়ার আগের দিনও প্রধান উপদেষ্টা আসিয়ানের সদস্য হিসেবে যোগদান করার বিষয়ে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানান।