মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ছিল সরকার-নিরাপত্তা বাহিনী-গোয়েন্দা সংস্থা\n
ওএইচসিএইচআর বলছে, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং নিরাপত্তা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিকল্পনা, সমন্বয় ও নির্দেশনায় এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো ঘটেছিল বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআর বলছে, বিক্ষোভ চলাকালে এক হাজার ৪০০ জনের বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এদের বেশিরভাগই সামরিক রাইফেল এবং প্রাণঘাতি মেটাল প্যালেটস লোড করা শটগানে নিহত হয়েছেন। এ ধরনের শটগান সাধারণত বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। বিক্ষোভে কয়েক হাজার মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন, কেউ কেউ স্থায়ীভাবে আজীবনের জন্য কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের প্রতিবেদনকে স্বাগত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি পুলিশ, প্রসিকিউটর এবং বিচারকসহ বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে আইনের শাসন সমুন্নত রাখার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারে কর্মরত সব ব্যক্তি এবং কোটি কোটি নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে এমন একটি দেশে রূপান্তরিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে সব মানুষ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে।’
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার শাসনামলে কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার খাতে কাঠামোগত ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে চাই যেখানে সব মানুষ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারবে। এ জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত সবাইকে আহ্বান জানাই, আপনারা ন্যায়বিচার, আইন ও বাংলাদেশের জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখুন।
‘যারা আইন ভঙ্গ করেছেন এবং মানুষের মানবিক ও নাগরিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন, তাদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসুন,’— বলেন প্রধান উপদেষ্টা।