ধর্ষকের বিচার দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীরা\n
রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বিক্ষোভ-মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি-দাওয়া নিয়ে অনেকেই আন্দোলন করে আসছিলেন শাহবাগ মোড়ে।
কিছুদিন আগে সুপারিশ পেয়েও আদালতের রায়ে নিয়োগ স্থগিত হয়ে যাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তরা শাহবাগ মোড়ে টানা আন্দোলন চালিয়ে যান। টানা কয়েকদিন জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। পরে উচ্চ আদালতের রায়ে তারা চাকরিতে যোগদানের অধিকার ফিরে পেয়েছেন।
জুলাই আন্দোলনে আহতদের পরিবারের সদস্যরাও সুচিকিৎসাসহ নানা দাবিতে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন করেছেন। সবশেষ সারা দেশে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়েছিলেন রাজধানীর অন্তত ৩০টি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
ওই দিনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। পদযাত্রা থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। পদযাত্রাটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বিনা উসকানিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। অন্যদিকে পুলিশের দাবি, আন্দোলনকারীরাই পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে হামলা, দায়িত্বে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলাও করেছে।
এ ঘটনাটি গত দুদিনে অনলাইন-অফলাইনে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। কোন পক্ষের হামলায় সংঘর্ষের সূত্রপাত, এ নিয়েও বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। বিশেষ করে সাদা পোশাকে পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারের (এসি) ব্যাপক মারধরের ছবি পুলিশের বলপ্রয়োগের মাত্রা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
এ ঘটনার দুদিন পরই শাহবাগ মোড়-ইন্টারনকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনের মোড়ে সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ করল ডিএমপি।