
ক্রীড়া ডেস্ক

প্রথমবারের মতো আট দলকে নিয়ে শুরু হওয়া টি-টুয়েন্টি এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করেছে আফগানিস্তান। হংকংকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ শুরু করেছে রশিদ খানের দল।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল আফগানরা। ১৮৮ রানের বড় সংগ্রহও গড়ে তোলে সেদিকউল্লাহ আতাল ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের দুই ঝোড়ো ফিফটিতে। পরে হংকংকে ঠিক অর্ধেক ৯৪ রানে অলআউট করে দিয়ে তুলে নেয় ৯৪ রানের জয়।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ছিল ধীরস্থির। ১২ রান তুলে প্রথম ওভার শুরু করলেও তৃতীয় ওভারে দলীয় ২৫ রানে আয়ুশ শুক্লার বলে ৮ রান করে ফিরে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ। পরের ওভারেই মাত্র ১ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা ইব্রাহিম জাদরান।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতালকে নিয়ে ৪১ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেয় তারা। একাদশ ওভারের প্রথম বলে নবি আউট হয়ে যান ২৬ বলে ৩৩ রান করে। দলের রান তখন ৭৭।
আতাল এরপর গুলবদিন নাইবের সঙ্গে ১৭ বলে ১৮ রানের ছোট একটি জুটি গড়েন। ১৩তম ওভারের শেষ বলে ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন নাইব। দলের রান তখন ৯৫।
এরপর শেষ ৭ ওভারে যে ৯৩ রান আসে, তাতে বড় অবদান আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের। দুই বাউন্ডারির সঙ্গে পাঁচ পাঁচটি ছক্কায় মাত্র ২১ বলে ২৫২ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ৫৩ রান। আতালের সঙ্গে তার পঞ্চম উইকেটের জুটিতে এসেছে ৮২ রান, তবে সেটি মাত্র ৩৫ বলে।
১৭৭ রানের মাথায় ওমরজাই আউট হয়ে গেলেও আতাল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫২ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ৬টি চারের সঙ্গে ছিল তিনটি ছক্কা, যা তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস।
শেষের দিকে করিম জানাত ৩ বলে ২ রান করে আউট হন। নেমে একটিমাত্র বল খেলার সুযোগ পান রশিদ খান, করেন ৩ রান। তাতে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানে থামে আফগানদের ইনিংস।
হংকংয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল কিঞ্চিত শাহ। ৩ ওভারে ২৪ রানে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। আয়ুশ শুক্লাও নিয়েছেন ২ উইকেট, তবে এর জন্য তাকে ৪ ওভারে ৫৪ রান দিতে হয়েছে। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আতিক ইকবাল ও এহসান খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় হংকং, ‘গোল্ডেন ডাক’ নিয়ে আউট হয়ে যান আনশি রাঠ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আরেক ওপেনার জিশান আলীও প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৬ বলে ৫ রান করে। পরের ওভারেই নিজাকাত খান রান আউট হন কোনো বলের মুখোমুখি না হয়েই। ১৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে হংকং তখন কাঁপছে।
২২ রানের মাথায় রান আউট হয়ে যান কালাহান চাল্লু, তিনি করেন ৮ বলে ৪ রান। এরপর ২১ রানের ছোট্ট একটি জুটি গড়েন তিনে নামা বাবর হায়াত আর ছয়ে নামা কিঞ্চিত শাহ। ৪৩ রানের মাথায় কিঞ্চিত আউট হন ১০ বলে ৬ রান করে। ইয়াসিম মুরতাজার সঙ্গে আবারও ২০ রানের জুটি বাবরের।
এরপর ৬৩ রানের মাথায় বাবর নিজেই আউট হয়ে যান ৪৩ বলে ৩৯ রান করে। ৭৮ রানে আইজাজ খানের আউটে সপ্তম, ৯১ রানে ইয়াসিমের আউটে অষ্টম আর ৯৩ রানে এহসান খানের আউটে নবম উইকেট হারায় হংকং। শেষ ৪ বলে আর উইকেট পড়েনি হংকংয়ের। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯৪ রানে থামে তাদের ইনিংস।
আফগানদের পক্ষে ৩ ওভারে ৮ রানে দুটি উইকেট নেন গুলবদিন নাইব, ৩ ওভারে ১৬ রানে দুটি উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান ও নূর আহমাদ।
২১ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস আর বোলিংয়ে ১ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হলো এবারের এশিয়া কাপ। এই গ্রুপের বাকি দুই দল বাংলাদেশ আর শ্রীলংকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবুধাবিতেই মুখোমুখি হবে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর)। আর আগামীকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে ‘এ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

প্রথমবারের মতো আট দলকে নিয়ে শুরু হওয়া টি-টুয়েন্টি এশিয়া কাপে শুভ সূচনা করেছে আফগানিস্তান। হংকংকে বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ শুরু করেছে রশিদ খানের দল।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতে আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল আফগানরা। ১৮৮ রানের বড় সংগ্রহও গড়ে তোলে সেদিকউল্লাহ আতাল ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের দুই ঝোড়ো ফিফটিতে। পরে হংকংকে ঠিক অর্ধেক ৯৪ রানে অলআউট করে দিয়ে তুলে নেয় ৯৪ রানের জয়।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুটা অবশ্য ছিল ধীরস্থির। ১২ রান তুলে প্রথম ওভার শুরু করলেও তৃতীয় ওভারে দলীয় ২৫ রানে আয়ুশ শুক্লার বলে ৮ রান করে ফিরে যান রহমানুল্লাহ গুরবাজ। পরের ওভারেই মাত্র ১ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনে ব্যাটিংয়ে নামা ইব্রাহিম জাদরান।
এরপর তৃতীয় উইকেটে ওপেনার সেদিকউল্লাহ আতালকে নিয়ে ৪১ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে শুরুর বিপর্যয় সামাল দেয় তারা। একাদশ ওভারের প্রথম বলে নবি আউট হয়ে যান ২৬ বলে ৩৩ রান করে। দলের রান তখন ৭৭।
আতাল এরপর গুলবদিন নাইবের সঙ্গে ১৭ বলে ১৮ রানের ছোট একটি জুটি গড়েন। ১৩তম ওভারের শেষ বলে ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন নাইব। দলের রান তখন ৯৫।
এরপর শেষ ৭ ওভারে যে ৯৩ রান আসে, তাতে বড় অবদান আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের। দুই বাউন্ডারির সঙ্গে পাঁচ পাঁচটি ছক্কায় মাত্র ২১ বলে ২৫২ স্ট্রাইক রেটে তিনি করেন ৫৩ রান। আতালের সঙ্গে তার পঞ্চম উইকেটের জুটিতে এসেছে ৮২ রান, তবে সেটি মাত্র ৩৫ বলে।
১৭৭ রানের মাথায় ওমরজাই আউট হয়ে গেলেও আতাল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৫২ বলে ৭৩ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ৬টি চারের সঙ্গে ছিল তিনটি ছক্কা, যা তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস।
শেষের দিকে করিম জানাত ৩ বলে ২ রান করে আউট হন। নেমে একটিমাত্র বল খেলার সুযোগ পান রশিদ খান, করেন ৩ রান। তাতে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানে থামে আফগানদের ইনিংস।
হংকংয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল কিঞ্চিত শাহ। ৩ ওভারে ২৪ রানে তিনি নিয়েছেন ২ উইকেট। আয়ুশ শুক্লাও নিয়েছেন ২ উইকেট, তবে এর জন্য তাকে ৪ ওভারে ৫৪ রান দিতে হয়েছে। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আতিক ইকবাল ও এহসান খান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় হংকং, ‘গোল্ডেন ডাক’ নিয়ে আউট হয়ে যান আনশি রাঠ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আরেক ওপেনার জিশান আলীও প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৬ বলে ৫ রান করে। পরের ওভারেই নিজাকাত খান রান আউট হন কোনো বলের মুখোমুখি না হয়েই। ১৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে হংকং তখন কাঁপছে।
২২ রানের মাথায় রান আউট হয়ে যান কালাহান চাল্লু, তিনি করেন ৮ বলে ৪ রান। এরপর ২১ রানের ছোট্ট একটি জুটি গড়েন তিনে নামা বাবর হায়াত আর ছয়ে নামা কিঞ্চিত শাহ। ৪৩ রানের মাথায় কিঞ্চিত আউট হন ১০ বলে ৬ রান করে। ইয়াসিম মুরতাজার সঙ্গে আবারও ২০ রানের জুটি বাবরের।
এরপর ৬৩ রানের মাথায় বাবর নিজেই আউট হয়ে যান ৪৩ বলে ৩৯ রান করে। ৭৮ রানে আইজাজ খানের আউটে সপ্তম, ৯১ রানে ইয়াসিমের আউটে অষ্টম আর ৯৩ রানে এহসান খানের আউটে নবম উইকেট হারায় হংকং। শেষ ৪ বলে আর উইকেট পড়েনি হংকংয়ের। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৯৪ রানে থামে তাদের ইনিংস।
আফগানদের পক্ষে ৩ ওভারে ৮ রানে দুটি উইকেট নেন গুলবদিন নাইব, ৩ ওভারে ১৬ রানে দুটি উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, রশিদ খান ও নূর আহমাদ।
২১ বলে ৫৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস আর বোলিংয়ে ১ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হলো এবারের এশিয়া কাপ। এই গ্রুপের বাকি দুই দল বাংলাদেশ আর শ্রীলংকা নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবুধাবিতেই মুখোমুখি হবে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর)। আর আগামীকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুবাইয়ে ‘এ’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্বে আবারও ফিরছেন নাজমুল হোসেন শান্তই। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অনুরোধে অভিমান ভেঙে আবারও সাদা পোশাকের দায়িত্ব নিলেন তিনি।
২ দিন আগে
বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন শেখ মেহেদি ও শরিফুল ইসলাম। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের দেখা পেত বাংলাদেশ। তবে ক্যাচ মিস করেন স্লিপে থাকা সাইফ হাসান। তবে ব্রেকথ্রু পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। তৃতীয় ওভারেই আলিক আথানজেকে ফিরিয়ে দলকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন মেহেদি।
৩ দিন আগে
এদিকে তানজিদের ৮৯ বাদ দিলে ২২ বলে ২৩ করেছেন ওপেনিং থেকে ব্যাটিং অর্ডারের চারে নেমে আসা সাইফ হাসান। দলের আর একজন ব্যাটারও দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি। উলটো শেষ ৩২ বলে একদিকে এসেছে মাত্র ৪৪ রান, অন্যদিকে উইকেটও পড়েছে ৭টি। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫১ রানেই থামতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
৩ দিন আগে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া হওয়ায় এখন শেষ ম্যাচে একমাত্র লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। সে লক্ষ্য মাথায় রেখে বাংলাদেশের একাদশে এসেছে চারটি পরিবর্তন। এ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন টাইগার ক্যাপ্টেন লিটন দাস।
৩ দিন আগে