top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

সরকারের ধান কেনা নিয়ে ৪৩ নাগরিকের বিবৃতি

সরকারের ধান কেনা নিয়ে ৪৩ নাগরিকের বিবৃতি

দেশে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ৩ কোটি টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যার মাধ্যমে ২ কোটি টনের বেশি চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আসন্ন বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মাত্র সাড়ে ১৭ লাখ টন ধান ও চাল কেনার ঘোষণা দিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। এর মধ্যে ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা মাত্র সাড়ে তিন লাখ টন এবং চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা ১৪ লাখ (সিদ্ধ চাল)।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৪৩ নাগরিক।

লেখক ও গবেষক মাহা মির্জা স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারের সামান্য পরিমাণ ধান (সাড়ে তিন লাখ টন) কেনার প্রস্তাব কৃৃষকের সঙ্গে পরিহাস ছাড়া আর কিছুই নয়। যেখানে গত বছর ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ লাখ টন। বোঝা যাচ্ছে, মিলারদের বাণিজ্য সুবিধা দিতেই ধান না কিনে বেশি পরিমাণে চাল কেনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব দেশের কৃষকের জন্য ক্ষতিকর বলে আমরা এই উদ্যোগের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সরকারের এই কার্যক্রমের প্রতিবাদ জানিয়ে চারটি দাবি করেছে নাগরিক প্রতিনিধিরা। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা এখনই পরিবর্তন করে ১৭ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ টনে নামিয়ে আনতে হবে।

চলতি বোরো মৌসুমেই কৃষকের নিকট থেকে পর্যায়ক্রমে ধান কেনার পরিমাণ ৫০ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সরকারি গুদামের সক্ষমতা ২১ লাখ টন থেকে ৫০ লাখ টনে উন্নীত করতে হবে। সরকারের সংগ্রহ কার্যক্রম পুরোপুরি সংস্কার করতে হবে। বিবৃতিতে ধানের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।

বিবৃতি প্রদানকারী নাগরিকরা হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক মাহা মির্জা, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, পাভেল পার্থ এবং কল্লোল মোস্তফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান এবং সাংবাদিক ও গবেষক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।

এছাড়া বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- গবেষক এবং নৃবিজ্ঞানী নাসরিন খন্দকার, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের শিক্ষক নাজনীন শিফা, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ডা. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মোঃ নুরে আলম, নৃবিজ্ঞান গবেষক সায়েমা খাতুন, লেখক ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শরত্ চৌধুরী, এনজিও ফোরাম অন এডিবির নির্বাহী পরিচালক রায়ান হাসান, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের শিক্ষক অলিউর সান, গবেষক হানা শামস আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক জাবির আহমেদ জুবেল, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এর সভাপতি অমল ত্রিপুরা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তাওফিকা প্রিয়া, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক আরমানুল হক।

পরিবেশকর্মী ও চলচ্চিত্রনির্মাতা ব্রাত্য আমিন, চলচ্চিত্রকার আকরাম খান, জাতীয় কৃষি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, উন্নয়নকর্মী আবদুল্লাহ জাফর ও কামরুজ্জামান রিপন, মানবাধিকারকর্মী সাইদ আহমদ, গবেষক কৌশিক আহমেদ ও রেং ইয়ং ম্রো, এক্টিভিস্ট মারজিয়া প্রভা। সাংবাদিক ও কৃষি উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান, কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষক কল্যাণ সমিতি ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আহসানুল ইসলাম ডন, কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তা এস এমনাজমুল হাসান, মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম শাহিন, মোঃ আবু আলী, রাসেল মাহবুব, সোহেল রানা ও সাজেদুল ইসলাম।

r1 ad
top ad image